টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – মরনাপন্ন অবস্থা তিনদিনের শিশুর। একরত্তির জন্ম হয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে। গত ১২ জানুয়ারি বারাসতের নিউ সেবাসদন হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পূজা দেবনাথ। তিনি হরিণঘাটা এলাকার মহিলা। কিন্তু এই শিশুকে বাঁচাবেন কী করে? এই প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না মা পূজার। চিকিৎসা করানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু এত অর্থ জোগাড় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তখন বিষয়টি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। আর তারপরই ম্যাজিকের মতো পাল্টে গেল শিশুটির জীবন। কারণ পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে খবর, শিশুটির হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাই শিশু চিকিৎসকরা তার পরিবারকে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে শিশুটির চিকিৎসা করানো যায়নি। তখন শিশুটির পরিবার আইএলএস নাগেরবাজারে যান। এই হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়। তাতে গোটা পরিবার বিপদে পড়ে যান। এই পরিস্থিতিতে গোটা পরিবার কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। এদিকে নাগেরবাজারের এই বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দেয় তিনটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। তারপর তিনটি স্টেইন বসাতে হবে শিশুটির হৃদযন্ত্রে। প্রত্যেকটি অপারেশনের জন্য খরচ আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সেই খরচ বহন করা সম্ভব নয় এই পরিবারের। বাধ্য হয়ে সাহায্য চাইতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনাটি পোস্ট করেন। আর তাতেই পেলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সাড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখেই এগিয়ে আসেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে আরএন টেগোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় একরত্তি শিশুকে। সেখানে ভর্তি করে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই বহন করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। চোখে জল চলে আসে মা পূজার। পরিবারের প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ধন্যবাদ জানান।