টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়’ বলে নেটমাধ্যমে পোস্টার পড়েছে। আর এই সংযোজন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং দলের অন্দরে খেলা জমে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখা গিয়েছে, ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়’ মর্মে একটি পোস্টার টুইট করা হয়েছে। আর লেখা হয়েছে, ‘নিজেকে হাস্যস্পদ না করে আপনার চারদিকে যে পরিবর্তন ঘটছে, তাকে সসম্মানে মেনে নিন।’ টুইটের কোথাও কল্যাণের নাম নেই। শুধু টুইটে যুক্ত করা হয়েছে ‘উইথএবি’ হ্যাশট্যাগ। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘এবি’, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। সুতরাং সৌগত, কুণাল, অপরূপা, মদন চ্যাপ্টার ক্লোজড হলেও নয়া অধ্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও থেমে থাকার বান্দা নন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা পাল্টা প্রচার নেটমাধ্যমে শুরু করবেন। যেখানে লেখা থাকবে, ‘শ্রীরামপুর আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চায়।’ ফলে বিষয়টি নবান্ন পর্যন্ত গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কল্যাণ ফেসবুকে শিরদাঁড়া সংক্রান্ত একটি কবিতা পোস্ট করেছেন। তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়—লাইনটি উল্লেখ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি শ্রীজাতর কবিতা। আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার পাল্টা লোকসভার মুখ্যসচেতকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন কল্যাণকে। এমনকী ফেসবুকে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কবিতা ‘মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও’–এর দু’টি পংক্তি পোস্ট করেছেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিবাদ থামান। তার পরেও বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি চলে। তারপরই কল্যাণকে নিশানা করে প্রথমে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রীর বোনের মেয়ে অদিতি গায়েন। তাঁর পরে টুইট করেন অভিষেকের ভাই আকাশ।