টাইমস বাংলা ডেস্ক – করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইল বা নথিপত্র হারালে ডায়েরি করাতে আর যেতে হবে না থানায়। যদি ছোটখাটো সমস্যা হয়, সেই অভিযোগ এখন বাড়ি থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে জানানো যাবে। তার জন্য লালবাজারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি থানাকে দেওয়া হচ্ছে নতুন স্মার্টফোন। কলকাতা পুলিশে বাড়ছে করোনা। রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন জেলা ও কমিশনারেটের পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। শনিবার কলকাতা পুলিশের ৫৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত। গতকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৫৪। সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। শনিবার করোনা সংক্রমিত হন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) অশেষ বিশ্বাস। রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি কমিশনারেটে এদিন আক্রান্ত হন ১৩ পুলিশকর্মী। কলকাতার আশপাশের জেলা থেকেও পুলিশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের খবর এসেছে। বারাকপুর কমিশনারেটে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৬০ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্তাও। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, বাইরের লোককে যাতে থানায় বেশি আসতে না হয়, সংক্রমণ এড়াতে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকদিন থানাগুলিতে মোবাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারানো থেকে শুরু করে প্রচুর ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। লালবাজার থেকে পাঠানো স্মার্টফোন থাকবে ডিউটি অফিসারের টেবিলে। থানার পক্ষ থেকে নিজেদের এলাকায় প্রচার করে দেওয়া হবে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। একেকটি থানার ক্ষেত্রে এই নম্বর আলাদা হতে পারে। ওই নম্বরটিতে হোয়াটসঅ্যাপ করে কেউ নিজের অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগপত্র ছবি তুলে পুলিশকে পাঠানো যেতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশ তার উত্তর দেবে। তবে বড় ধরনের সমস্যা বা অভিযোগের ক্ষেত্রে যেতে হবে থানায়। এদিকে, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩ জন পুলিশকর্মীর করোনা হওয়ায় তাঁদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে সস্ত্রীক করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। নদিয়ার নবদ্বীপ থানার আরও একজন পুলিশ অফিসার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।