টাইমস বাংলা ডেস্ক, দক্ষিণ ২৪ পরগণা- তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানকে হারাল তৃণমূল কংগ্রেসই। আর তারপর নিয়ে আসা হল নয়া পঞ্চায়েত প্রধানকে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী রীতিমতো অনাস্থা ঢেকে হারানোর পরে নতুন প্রধান হিসাবে দায়িত্ব ভারগ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সাহানারা মোল্লা। এই চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের ফুটিগোদা গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এখানের তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন শেখ সমীর আলি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। তারপর এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হলে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের সাহানারা মোল্লা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। এই জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের ফুটিগোদা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসন। ফলাফল হয়েছিল— বিজেপি ৫টি, সিপিআইএম ২টি, নির্দল ২টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ৭টি আসন জিতেছিল। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাহানারা মোল্লাকে প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন প্রধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ সমীর আলি বিজেপি, সিপিআইএম এবং নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে জিতে যান এবং পঞ্চায়েত প্রধান হন। উপপ্রধান হন সিপিআইএমের সুব্রত মণ্ডল।
তখন থেকে জমে থাকা ক্ষোভ এবার আছড়ে পড়ল। এর পরে উন্নয়নে এলাকা পিছিয়ে পড়া থেকে দুর্নীতি–সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সমীর আলির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ২৪ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল কংগ্রেসই। তারপর পঞ্চায়েত ভবনে জয়নগর–১ বিডিও, জয়নগর–২ যুগ্ম বিডিও এবং বারুইপুর মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভোটাভুটিতে ১২–০ ভোটে জয়ী হয়েছিল সাহানারা মোল্লা। এই বিষয়ে সাহানারা বলেন, ‘সামনে আর দেড় বছর আছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের। তাঁর আগে পিছিয়ে পড়া ফুটিগোদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের জন্য পড়ে থাকা কাজগুলি শেষ করতে হবে।’