টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – এবার সরকারি খরচে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সরকারি দফতর এবং সরকারি সংস্থাগুলিতে খরচের উপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আপাতত বজায় থাকবে। কারণ করোনাভাইরাসে এখন বাড়তি খরচ হতে চলেছে। এই বিষয়ে অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে এই বিধিনিষেধের আওতা থেকে সামাজিক প্রকল্পকে বাদ রাখা হয়েছে। তাই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী–সহ নতুন চালু হওয়া সব সামাজিক প্রকল্পগুলির আর্থিক সংস্থানে কোনও সমস্যা হবে না। এমনকী বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকছে কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন। কেন্দ্রীয় প্রকল্প খাতে অর্থ বরাদ্দও বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। অর্থ দফতর এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তার সাপেক্ষে নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে এই খরচের বিধিনিষেধের কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। শুধু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকার জন্য পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বাড়তি খরচে রাশ কার্যকর থাকবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, অর্থ দফতরের অনুমতি ছাড়া কোথাও নতুন নিয়োগ করা যাবে না। গাড়ি, কম্পিউটার–সহ তথ্য প্রযুক্তি সামগ্রী, আসবাবপত্র, এসি মেশিন, টিভি, ওয়াটার কুলার প্রভৃতি কেনা যাবে না সরকারি দফতরে। নতুন নির্মিত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, লাইব্রেরি ভবনের জন্য কিছু কেনার প্রয়োজন হলে অর্থ দফতরের অনুমোদন নিতে হবে। এমনকী বিশেষ প্রয়োজনে নতুন গাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও অর্থদফতরের অনুমোদন লাগবে।
এছাড়া আধিকারিকদের ঘর সংস্কার, সাজানোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সরকারি বৈঠকে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা কম রাখতে হবে। অফিসের কাজে বাইরে যাওয়ার খরচ কমানো হচ্ছে। বিমানে গেলে এগজিকিউটিভ ক্লাসে যাওয়া নিষিদ্ধ। সরকারি কর্মীরা তাঁদের জিপিএফ তহবিল থেকে জমা টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাড়ি তৈরি ছাড়া অন্য কোনও কারণে টাকা তোলা যাবে না। মোটর সাইকেল বা কম্পিউটার কেনার জন্য সরকারি কর্মীদের অগ্রিম টাকা নেওয়া বন্ধ। সরকারি দফতর ও সংস্থাগুলির নতুন প্রকল্প খাতে খরচের উপর ঊর্ধ্বসীমা আছে।