টাইমস বাংলা ডেস্ক, দক্ষিণ দিনাজপুর- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেটে লাথি মেরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে স্বামী। বছরের প্রথম দিনেই এমনই অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার শেরপুর এলাকায়। গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তার স্বামী রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেলিনার পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, বছর তিনেক আগে শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সেলিনার। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেলিনা।
সেলিনার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই প্রত্যাশামতো পণ না পেয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এতদিন পরেও তার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচার বন্ধ হয়নি। অভিযোগ, সেলিনা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় এতদিন বাপের বাড়িতেই ছিলেন। রুহুল কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে যায়। এর পরেই তার উপরে অত্যাচার শুরু করেন রুহুল আমিনসহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকেরা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই তার পেটে লাথি মারার অভিযোগ তুলেছেন সেলিনার বাবা। পড়ে তাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় সেলিনার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যেই স্বামী এবং ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।