টাইমস বাংলা ডেস্ক – বড় কোনও অঘটন না ঘটলে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে জয় দিয়েই যে শুরু করতে চলেছে ভারত, তা বুধবারই একপ্রকার স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিল। আর খাতায়-কলমে ম্যাচের পঞ্চম দিনে ভারতীয় পেসারদের দাপটে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয়ের ইতিহাসই রচনা করল টিম ইন্ডিয়া। বুমরাহ, শামি, সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে ক্রিজে টিকতেই পারলেন না প্রোটিয়া ব্যাটাররা। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একাধিক প্রাক্তনী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে এবার বিদেশের মাটিতে ভারতই ফেভারিট। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল এই প্রোটিয়া শিবির তুলনামূলকভাবে দুর্বল। আনরিখ নখিয়ার না থাকাটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় ধাক্কা। কিন্তু তাই বলে ভারতীয় বোলারদের থেকে জয়ের কৃতিত্ব কোনওভাবেই ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে জশপ্রীত বুমরাহ যে জ্বলে উঠবেন তা সবারই জানা ছিল। দেশের বাইরে টেস্টে একশোর বেশি উইকেট ঝুলিতে ভরে ফেললেন তিনি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাতেই সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। সেঞ্চুরিয়নে তিনটি উইকেট তুলে ভারতের জয়কে আরও খানিকটা সহজ করে দেওয়ার কাজটি করেন তারকা পেসার। আর মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান মহম্মদ শামি (৩) ও মহম্মদ সিরাজ (২)। শেষ বেলায় আবার জোড়া উইকেট নিয়ে মধুরেন সমাপয়েৎ ঘটান অশ্বিন। কাজে এল না বাভুমার একক লড়াই। ৩০৫ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন এলগাররা। তবে গতকাল স্কোরবোর্ডে ১০০ রানে না পৌঁছতেই চার উইকেট খুইয়ে বসে প্রোটিয়া বাহিনী। আর এদিন শামি-সিরাজের দাপটে এল কাঙ্খিত জয়। তবে প্রথম টেস্ট জিতলেও ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখবে ব্যাটিং লাইন আপ। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুল ছাড়া সেভাবে ভরসা জোগাতে পারেননি কেউ। অভিজ্ঞ পূজারা ও রাহানেও নজর কাড়তে ব্যর্থ। আর বিরাট কোহলির কথা তো আপাতত যত কম বলা যায়, তত ভাল। ২০২০-র মতো ২০২১ সালটাও সেঞ্চুরিহীন ভাবে শেষ করলেন ভারত অধিনায়ক। ফলে ক্যাপ্টেন হিসেবে সিরিজ জয়ের পথে একধাপ এগোলেও তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ৩ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রোটিয়াবাহিনীকে হারানোর নজির গড়বে কোহলি অ্যান্ড কোং।