টাইমস বাংলা ডেস্ক, দক্ষিণ ২৪ পরগণা- টানা ৬ দিন ধরে কুলতলি এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে বেড়িয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দীর্ঘ বাঘবন্দি খেলার পর মঙ্গলবার তাকে খাঁচাবন্দি করতে সক্ষম হয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা। অবশেষে আজ বুধবার নিজের ঘরে ফিরল দক্ষিণরায়। বনদফতরের কর্মীরা সুন্দরবনের ধূলিভাসানীর জঙ্গলে বাঘটিকে ছেড়ে দেন। খাঁচা খুলতেই বাঘটি লাফ দিয়ে নদী সাঁতরে জঙ্গলে চলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বনদফতরের কর্মীরা। মঙ্গলবার দক্ষিণরায়কে খাঁচাবন্দি করার পর তার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন আধিকারিকরা। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়ার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বনদফতরের কর্মী এবং স্থানীয় মানুষরা। তবে এই দক্ষিণরায়কে কাবু করা মোটেই সহজ ছিল না। আচমকাই কুলতলির লোকালয়ে চলে গিয়ে এই রয়াল বেঙ্গল যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তাতে ঘুম উড়েছিল স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে বনদফতরের কর্মীদের। স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য বনকর্মীরা ব্যবস্থা নিলেও রয়েল বেঙ্গলের গর্জনে কার্যত আতঙ্ক গ্রাস করেছিল স্থানীয় মানুষদের। বাঘ ধরার জন্য বেশ কয়েকবার টোপ দেওয়া হলেও তা বিশেষ কাজে লাগেনি। সোমবার বিকেল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে বাঘ ধরার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু, সেই পরিকল্পনাও কাজে লাগেনি। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জঙ্গলে জাল দিয়ে দক্ষিণ রায়কে খাঁচায় ভরার পরিকল্পনা করেন বনদফতরের কর্মীরা। একই সঙ্গে, বনদফতরের কর্মীদের আরেকটি দল লাঠি হাতে নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে গাছে আঘাত করে আওয়াজ করতে থাকে। তারপরে বাঘটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয় বাঘের উপরে। তাতেই কাবু হয় রয়াল বেঙ্গল। খাঁচাবন্দি করার পর রয়েল বেঙ্গলকে ঝাড়খালি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাঘের শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। বাঘটি সুস্থ রয়েছে জানার পরেই আজ সকালে তাকে নিজের ডেরায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বাঘটির উপর নজরদারি চালানো হবে বলে বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন।