টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – এবার শৈলশহরের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হল। পাহাড়ের নেতারা যখন পৃথক পৃথক দল গঠন করছেন তখন বিনয় তামাং এবং রোহিত শর্মা সরাসরি পাহাড় থেকে সমতলে নেমে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। যা এখন কার্যত বড় খবর। কারণ বিমল গুরুং ফিরে আসার পর বিনয়–রোহিত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। আর অনীত থাপা পৃথক দল গঠন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিনয় তামাং।
বিনয় তামাং জিটিএ’র চেয়ারম্যান ছিলেন। শুধু তাই নয়, যখন পাহাড় জ্বলছিল তখন নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বিমল গুরুংকে সাইড করেছিলেন তিনিই। এবার ঠিক জিটিএ নির্বাচনের আগে বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে বিনয় তামাং এবং প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মা যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই দু’জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। পাহাড়ের উন্নয়নই এঁদের লক্ষ্য।’ শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিনয় অবশ্য বলেন, ‘৬৪ দিন আগে আমি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করি। কিন্তু পরে মমতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। মমতাকে আমি সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে দেখতে চাই। মমতাকে আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের মূল বিরোধী বিজেপি। বার বার তারা আমাদের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের ললিপপ দেখিয়েছে। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দরকার নেই। দরকার পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়নের। আর একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলেই সেই উন্নয়ন সম্ভব।’ যেখানে দার্জিলিং তথা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা বিজেপি নেতারা বারবার বলছিলেন সেখানে আজকের এই যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই যোগদানের পরই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করব উত্তরবঙ্গবাসী এবং উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য।’ বিনয় তামাং যদি তৃণমূল কংগ্রেসে না ফিরতেন তাহলে পাহাড়ের রাজনীতিতে তিনি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়তেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।