টাইমস বাংলা ডেস্ক,কলকাতা- এবার পুরভোটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে চলেছেন তাঁরই ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর রতন মালাকার এবার বাদ পড়লেন। এদিকে মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরীদেবী টিকিট পেতেই উঠতে শুরু করেছে পরিবারতন্ত্রের প্রশ্ন। বিগত কয়েক বছরে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘পিষি’ মমতার বিরুদ্ধে এই নিয়ে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের আরও এক সদস্য পুরভোটে টিকিট পাওয়ায় স্বভাবতই প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা। তবে কেন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলরকে হটিয়ে নিজের ভাতৃবধূকে টিকিট দিয়েছেন মমতা? দলীয় সূত্রে খবর, দলের সংগঠন সম্পর্কে ধারণা ছিল না রতন মালাকারের। দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে ক্ষোভও ছিল। খুব সম্ভবত এই কারণেই তাঁকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজের ওয়ার্ডে পরিবারের সদস্যকেই টিকিট দেওয়া স্থির করেন মমতা। উল্লেখ্য, টিকিট প্রাপক কাজরীর স্বামী কার্তিকবাবুকে রাজনৈতিক ময়দানে দেখা যায় বটে। তবে এক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার থেকে সেরম ভাবে কেউ সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেননি। তবে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই বারংবার পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। আর এবারের পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় যেন পরিবারতন্ত্রের ছড়াছড়ি। শুধু বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার নয়, তৃণমূলের টিকিটে এবার লড়বেন বহু হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর আত্মীয় পরিজনরা। পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা মুখোপাধ্যায়। তাছাড়া স্বর্ণকমল সাহা-র ছেলে সন্দীপন সাহা, শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য, তারক সিং-এর ছেলে অমিত সিং ও মেয়ে কৃষ্ণা সিংও এবারে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন।