টাইমস বাংলা ডেস্ক, নদিয়া – কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় “এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অফ দলিত-বিন্দ-ওমেন কমিউনিটি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল: এ কেস স্টাডি” নামক গবেষণার অংশ হিসাবে ২০১৮ সালের ১ মে দলিত বিন্দ সমাজের শিশু শিক্ষার উন্নয়নের জন্য উদ্বোধন হয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ স্কুল। অতিমারি ও লক ডাউনের সময়েও সরকারি অনুমতি নিয়ে মাঝে মাঝেই গবেষক প্রদীপ অধিকারী ও তার সহযোগী টিম পৌঁছে যেত শিক্ষা ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর বিন্দ সম্প্রদায়ের কাছে। গত ২৪ তারিখে এই ভ্রাম্যমাণ স্কুলের উদ্যোগেই যদুবাটি গ্রামে গুড টাচ্ ব্যাড টাচ্ সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়। ভ্রাম্যমাণ স্কুলের কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ড. শান্তি নাথ সরকার জানান “করোনা অতিমারির আগে পর্যন্ত একটি বিশেষ টিম করে গবেষক প্রদীপ অধিকারীর নেতৃত্বে দলিত বিন্দ অধ্যুষিত পিছিয়ে পরা গাঙ্গেও গ্রাম গুলোতে ঘুরে ঘুরে ছোট ছেলে মেয়েদের একসাথে জড়ো করে পড়ানোর ব্যবস্থা হত। আজ এই গ্রামে তো কাল ওই গ্রামে। লক ডাউনের কারনে যদিও বেশ কিছুদিন বন্ধও রাখতে হয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ স্কুল তার জায়গায় চর যাত্রাসিদ্ধি গ্রাম ও বিরুভাই এর সহায়তায় চালানো হয় সান্ধ্যকালীন স্কুল, যেটি এখনও চলমান। ড. সরকার জানান এই গবেষণার অধীনে প্রবীণ মহিলাদের জন্য নাইট স্কুল ও বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এক মাস ব্যাপী চাকরি মুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিলো। গবেষক অধিকারী জানান কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগের সমস্ত সম্মানীয় অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, গবেষক আমাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেই আমরা এই ধরনের উদ্যোগ নিতে পেরেছি। আজকের গুড টাচ্, ব্যাড টাচ্ আলোচনার পূর্বে আমাদের ছোট্ট বন্ধুদের প্রত্যেকের হাতে স্লেট পেনসিল ও সামান্য মিষ্টি তুলে দিতে পেরেছি বলে বেশ ভালো লাগছে, ধরুন এটাই আমাদের বিজয়া সম্মিলনী।