টাইমস বাংলা ডেস্ক,জোড়াবাগান – বুধবার জোড়াবাগান এলাকার একটি গুদামঘর থেকে পাঁচটি কুকুরছানার দেহ উদ্ধার করা হয়। কুকুরছানাগুলির গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। কোনওটির মুখ বাঁধা ছিল। কোনও কুকুরছানার আবার চারটি পা একসঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। ওই গুদামঘরে কর্মরত এক ব্যক্তির হাত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পাঁচ কুকুরছানাকে খুন করেছেন অজয় ঠাকুর নামে ওই ব্যক্তি। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পশুপ্রেমী দাবি করেছেন, যে গুদামঘর থেকে কুকুরছানাগুলির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই কাজ করেন অজয়। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে কুকুরদের মারধর, ছুরি দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপান করে কুকুরছানাগুলিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পশুপ্রেমী। তিনি জানিয়েছেন, বেঁচে গিয়েছে একটি কুকুরছানা। তাকে মায়ের সঙ্গে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত অজয় কুকুর ছানাগুলিকে খুন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গুদামঘরের মালিক দাবি করেছেন, কুকুরছানাগুলির নিয়মিত দেখাশোনা করতেন অভিযুক্ত। নিয়মিত কুকুরছানাদের খাওয়াতেন। তবে অজয়ের যে মদ্যপানের স্বভাব আছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন গুদামঘরের মালিক। তিনি জানিয়েছেন, মদ্যপান করে একবার অজয় কুকুরদের মারধর করেছেন বলে জানতে পেরেছিলেন। যে ঘটনার নৃশংসতায় ২০১৯ সালে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের স্মৃতি ফিরে এসেছে। প্রায় তিন বছর আগে এনআরএসে ১৬ টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই নার্সিং পড়ুয়াকে।