টাইমস বাংলা ডেস্ক,দিল্লি- পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহেবের আমরোহ জেলার বাসিন্দা গুরপ্রীত সিং নামে ওই কৃষকের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দিল্লির নিকটবর্তী সিঙ্ঘু সীমান্তে গুরপ্রীত সিং এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যে এই নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের স্থানে দ্বিতীয় কোনও কৃষকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। সিধুপুরের ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। তিনি কৃষক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে গত অক্টোবরে কৃষক আন্দোলনের মূল মঞ্চের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক কৃষকের হাত-পা কাটা দেহ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ওই সংঘর্ষের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল, শিখদের নিহং সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন ওই ব্যক্তিকে মারধর করছে। কেটে নেওয়া হয় সেই ব্যক্তির হাতের কবজিও। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রক্তস্নাত ওই যুবক। ভিডিওটিকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে পৌঁছেছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। টুইটে রাকেশ টিকায়েতকে একহাত নেন অমিত মালব্য। ঘটনার নেপথ্যে থাকা নৈরাজ্যবাদীদের সামনে আসা প্রয়োজন বলেও টুইটে উল্লেখ করেন তিনি। এখন দেখার, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও বিতর্ক ছড়ায় কিনা। গত বছর মোদি সরকার তিনটি কৃষি আইন পাস করে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। পরে কৃষকরা এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে ভারতের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু কৃষক। সরকারের সঙ্গে কয়েক দফায় কৃষক নেতাদের বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখনও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষক বিক্ষোভ হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠে। এমনকী লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে।