টাইমস বাংলা ডেস্ক,জলপাইগুড়ি- জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোড়ল পাড়ার গ্রামের বাসিন্দা সাহেন আলি। অনলাইনে জুয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। আইপিএল এবং পরবর্তীতে টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন সাহেন অনলাইন জুয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুয়ার জন্য দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন। এর জেরেই এমন কাণ্ড বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। জুয়ার টাকা ঢালতে বিস্তর টাকা ঋণ নিয়েছিল সাহেন। তবে জুয়ায় হেরে সেই টাকা মেটাতে পারেনি সে। আর কোনও পথ না খুঁজে পেয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন। জুয়ায় যুক্ত থাকাকালীন নাকি পারিবারিক অশান্তিও লেগে থাকত সাহেনের। তার একটি ছেলে ও স্ত্রী আছে। সাহেনের দাদা মহম্মদ ভানু জানান, সবাইকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে সাহেন তার বাবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটির পর মহম্মদ ভানু অনলাইন জুয়া বন্ধের দাবি তুলেছেন। গতবছর এই অনলাইন জুয়াতেই ২০ লক্ষ টাকা জিতেছিল সাহেন। দু’টি বাইক ও চারচাকা গাড়ি কিনেছিল সেই টাকা দিয়ে। তবে কয়েক মাস পরেই সেগুলি বিক্রি করে দেয় তিনি। পরিবার সূত্রের খবর, জুয়ার টাকা মেটাতেই গাড়িগুলি আবার বিক্রি করেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেও তার দেনার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় সাত লক্ষ টাকা। এর জেরে নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।