টাইমস বাংলা ডেস্ক,দক্ষিণ ২৪পরগনা- এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতিতে জড়ান স্থানীয় এক যুবক। মোটরবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা। কালীপুজোর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার নুঙ্গি স্টেশন সংলগ্ন একটি ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন মহেশতলা থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। ওষুধের দোকানের সামনে তিনি তাঁর বাইকটিকে এমনভাবে রেখেছিলেন ফলে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করেন স্থানীয় যুবক সুমন্ত বেরা। সেই নিয়েই তাঁর সঙ্গে এসআইয়ের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে একসময় দু’জনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতিও। পরে মহেশতলা থানায় নিয়ে এসে ওই এসআই অফিসার সুমন্ত বেরাকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আহতের দাদা জানান, কালীপুজোর পরদিন সুমন্তকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে জামিন পান তিনি। আহত অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয় মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে এখনও চিকিৎসাধীন তিনি। আহত ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভাঙার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। বিচার চেয়ে যুবকের পরিবার ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। আহত যুবকের দাদা, প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমান মহেশতলা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য সুকান্ত বেরা অভিযোগ করেন, তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। সুবিচার পেতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। যদিও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মহেশতলার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, থানায় নিয়ে গিয়ে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যিই নক্ক্যারজনক।