টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে এই খুনের ঘটনায় এখন তৈরি হয়েছে রহস্য। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় মহিষবাথানের উদয়নপল্লিতে একটি ফাঁকা বাড়ির উঠোনে নির্মলচন্দ্র মজুমদার নামে বিমা এজেন্টের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তখন সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে সুজয় মণ্ডল নামে এক যুবক ওই বাড়িতে আসে। তবে ওই বাড়ি থেকে ধারাল অস্ত্র হাতে তাকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সুজয় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। কেন এই খুন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থিয়েটার রোডের বহুতলে ৯১ বছরের বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে চৌধুরী পরিবারের প্রাক্তন গাড়িচালক দুধকুমার ঢলের দিকে সন্দেহ বাড়ে। শেষপর্যন্ত পুলিশ দুধকুমার ঢলকে হুগলির ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করে। এখন এই বিমা কর্মীর খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এখন দেখার কত দ্রুত এই ঘটনার কিনারা হয়। এই উদয়নপল্লিতে বহু পরিবার ভাড়ায় থাকেন। নিহত নির্মলচন্দ্র মজুমদারও সেখানেই ভাড়ায় বসবাস করতেন। তাঁর ঘরের বাইরে এখনও রক্তের দাগ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা পুলিশকে জানান, দরজা খোলা দেখে উঁকি মারি। তখনই দেখতে পাই নির্মলচন্দ্র মজুমদারের দেহ পড়ে রয়েছে। গলায় আঘাত রয়েছে। রক্তও পড়ছিল। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।