টাইমস বাংলা ডেস্ক- উত্তরের হাওয়া বইছে। মাঝে মাঝেই ঠান্ডা বাতাসে শিরশির করে উঠছে শরীর। ঘুম থেকে উঠলেই কারও নাক বন্ধ , হালকা সর্দিভাব, একের পর এক হাঁচি দিয়ে কেউ ব্যতিব্যস্ত। কারও আবার বসে যাচ্ছে গলা। ম্যাজম্যাজে গা-হাত-পা। শীত আসছে। শরৎ এর শেষ আর হেমন্তকাল শুরুর আগে প্রতি বছর এই সময়টা এমন ফ্যাঁচফ্যাঁচানি লেগেই থাকে। অসুবিধা এমন কিছু গুরুতর নয়। তবে সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, অ্যাজমার পাশাপাশি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকিও একটু থাকে। তাই বাচ্চাদের অবহেলা করা চলবে না। এই সব সমস্যার সাইড এফেক্টহীন চিকিৎসা চাইলে হোমিওপ্যাথি অব্যর্থ। কখন কোন ওষুধ চলবে, রইল কয়েকটির তালিকা। তবে ডাক্তারের কাছে ডোজ জেনে তবেই ব্যবহার করতে হবে। কারণ, কখন কতটা ডোজের ওষুধ প্রয়োজন তা রোগীর নানা লক্ষণ দেখে নির্ধারণ করেন চিকিৎসক।
১। গলা বসে গেলে: রাসটক্স ৩০। দু’ফোঁটা করে দিন তিনবার তিনদিন ধরে খান।
২। গলা শুকিয়ে গেলে: ব্রায়োনিয়া ৩০। দু’ফোঁটা করে দিন তিনবার তিনদিন ধরে খান।
৩। টনসিলাইটিস: রাসটক্স, ব্রায়োনিয়া, হিপারসালফার, জোলসিমিয়াম, ইউপেটোরিয়াম।
৪। অ্যাজমা: অ্যাসপিডোস্পার্মা (দশ ফোঁটা), আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০।
৫। নাক দিয়ে রক্ত পড়া: নাইট্রিক অ্যাসিড ২০০, হেমামলিস ৩০ অথবা ভাইপেরা ব্যবহার করা যায়।
৬। নিউমোনিয়া: নিউমোককসিনাম ২০০, আর্সেনিক অ্যালবাম, অ্যান্টিমআর্স।
৭। ব্রঙ্কাইটিস: আর্সেনিক অ্যালবাম, স্পঞ্জিয়া, বেলেডোনা।
৮। সাইনুসাইটিসে মাথার যন্ত্রণায় কাবু হলে স্যাঙ্গুইনেরিয়া, ওনাসমোডিয়াম।
৯। ধুলো থেকে অ্যালার্জি, বাজির ধোঁয়া থেকে সমস্যায়: পোথোসফটিদাস।
সতর্কতা
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বাতাসে জীবাণু ও ধূলিকণা বেড়ে গিয়েছে। ঠান্ডা লাগা এড়াতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে হবে। সারাদিন প্রচুর জলপান করুন। রাতে খেয়ে নিন তাড়াতাড়ি।