টাইমস বাংলা ডেস্ক- মঙ্গলবার ভোরে দিল্লি এইমসের সামনে পুলিশ এবং তিনজন দুষ্কৃতীর মধ্যে বন্দুকের লড়াই হয় বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিল্লিতে অবস্থিত দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের কাছে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গুলির লড়াইয়ের পর পুলিশ দুই যুবক ও এক কিশোরকে আটক করে। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় এক বন্দুকবাজ। তার পায়ে গুলি লাগে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। জখম বন্দুকবাজকে এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবরের শেষদিকে চুরি সংক্রান্ত একটি মামলায় মূল চক্রী হিসেবে এই দুষ্কৃতীর নাম পায় পুলিশ। সেইমতো তাকে ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছিল। মঙ্গলবার দিল্লির এইমসের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই দুষ্কৃতী। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। ফলে পুলিশ-দুষ্কৃতীর মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতে জখম হন ২ পুলিশকর্মী। দুষ্কৃতীর পায়ে গুলি লাগে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত এইমসের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এই গুলির লড়াই চলায় রোগী থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী – সকলেই আতঙ্কিত। হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনায় রাজধানী শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে গেল। ডিসিপি বলেন, ‘সন্দেহ হলে আমাদের কর্মীরা বাইক আরোহীদের থামতে সংকেত দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক না থামিয়ে বাইকটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের কর্মীরা তাদের তাড়া করে এবং যখন তারা কিদওয়াই নগর পূর্ব অফিস ব্লকের কাছে পৌঁছায়, তখন পিলিয়ন আরোহী একটি বন্দুক বের করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষা করতে কনস্টেবল কুলদীপও গুলি চালায়। এর কারণে আরোহীর ডান পায়ে গুলি লাগে।’ জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম অভি সৌরভ, গুরুদেব সিং। তৃতীয় জন নাবালক।