টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – সেঞ্চুরি হাঁকানো পেট্রল। দয়া-দাক্ষিণ্যে ডিজেলের দাম একটু কমে নড়বড়ে নব্বইয়ে। মিষ্টি যেন ডায়াবেটিসের ট্যাবলেট। দামে বেশি, সাইজে ছোট্ট। মৎস্যকন্যারাও যেন নিজেদের দাম শুনে জল থেকে উঠতে লজ্জা পাচ্ছে। আর বাস্তবিকই খাসির দোকানের লাইনের অবস্থা যেন ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতোই। বাজারের দাম-যন্ত্রণায় অতি সুখাদ্যও আমজনতা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না! আজ ভাতৃদ্বিতীয়ার আগে শুক্রবার থেকেই বাজারে দেদার দাম বেড়েছে সবকিছুর। সবজি থেকে মাছ–মাংস সবেরই দামে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। অথচ বাঙালির রীতি ভাইফোঁটা—সেটা তো করতেই হবে। আর তা করতে গিয়ে পকেটে পড়েছে টান। লক্ষ্মীপুজোর আগেও বেড়েছিল সবজির দাম। এবার ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে সেটা চড়েছে চরমে। এদিকে পেট্রোল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণের খরচ বেড়েছে। তাতে শাক–সবজি–মাছ যা নিয়ে আসা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে সেখানে গুণতে হচ্ছে বড় অঙ্কের ভাড়া। তাই তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। সেটা সহ্য করতে হচ্ছে ক্রেতাকে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনটা কিনলে বাজেটে কুলোবে, সেটা ভাবতেই অস্থির হচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে রাজ্যের বেশিরভাগ বাজারেই এই দাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে ক্রেতাদের। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। অনেকেই বলছেন, বাজারে এসে খালি থলি নিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ভাইদের পছন্দ মতো পদ পাতে তুলে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কেমন দর বাজারের? আলু– প্রতি কেজির দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। পেঁয়াজ– প্রতি কেজির দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। পটল– প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। টম্যাটো– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কাঁচালঙ্কা– প্রতি কেজির দাম হয়েছে ২০০ টাকা। বাঁধাকপি– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা। ফুলকপি– প্রতি পিস ৪০ টাকা। সঙ্গে মাছ–মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় হেঁশেলে আগুন জ্বলছে।