অনিসা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – দীপাবলীর আলোর রোশনাইয়ের মধ্যে অন্ধকার নেমে এল বাংলা রাজনীতিতে । বৃহস্পতিবার রাত ৯.২২ মিনিটে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হল রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ৭৫ বছর বয়সী সুব্রত প্রণয়নে শেষ হয়ে গেল রাজ্য রাজনীতি বর্ণময় এক অধ্যায়। তিনি তারই হাত ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্রজীবনে হাতেখড়ি হয়েছিল। জেনে রাখুন তার জীবনীর এক জলক,
১. ১৪ই জুন ১৯৪৬ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জন্ম বজবজের সারেঙ্গাবাদে।
২. ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে বালিগঞ্জ থেকে প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৩. ১৯৭২ সালে বালিগঞ্জ থেকেই দ্বিতীয়বার বিধায়ক হয়েছিলেন। সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত। মাত্র ২৫ বছরে তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
৪. ১৯৭৭ সালে ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের সময় সুব্রত হেরে যান।
৫. ১৯৮২ বালিগঞ্জ থেকে কেন্দ্র বদলে বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানো জোড়াবাগানে সেখান থেকে পরপর তিনবার যেতেন তিনি।
৬. ১৯৯৬ বিধানসভার প্রার্থী হন চৌরঙ্গী থেকে সেখানেও সুব্রত জয়ী হন।
৭. ২০০০ কংগ্রেস ছেড়ে সুব্রত যোগ দেন তৃণমূলের ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে জিতে কলকাতার মেয়র।
৮. ২০০১ সালে কলকাতার মেয়র পদে থেকে চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে জয়।
৯.২০০৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তৃণমূল ছেড়ে পৃথক মঞ্চ করেন । সুপরিচিতি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কলকাতার পৌরসভা ভোটে দাড়ান।
১০. ২০১০ সালে পুরভোটের সময় কংগ্রেস ছেড়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগ দেন তৃণমূলে ।
১১. ২০১১সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রতীকে বালিগঞ্জে দাঁড়িয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
১২. ২০২১সালে ওই কেন্দ্র থেকেই আমৃত্যু তৃণমূল মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি । এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়।