অনিসা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – উপনির্বাচনের পরই রাজভবনে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সাথে। প্রথমে তিনি রাজ্যপালের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলেন। উল্লেখ্য কদিন আগেই রাজ্যপাল ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন, এখন তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে রাজভবনে ফিরে এসেছেন। তবে কি কারনে উপনির্বাচনের পরেই শুভেন্দু অধিকারী ছুটে গেলেন রাজভবনে? সে প্রশ্নের উত্তরে কোনো শব্দ খরচ করেননি শুভেন্দু অধিকারী । তবে সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে উপনির্বাচনের ভরাডুবি বিষয় জানান শুভেন্দু অধিকারী। তখন রাজ্যপাল জানতে চান এই ফলাফল কেন হল? সেখানেও সন্ত্রাসের বাতাবরণে ভোট হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল সব শুনলেও কোনও উত্তর করেননি। পরে তিনি শুভেন্দুকে তাঁর বক্তব্যের নিরিখে লিখিত তথ্য দিতে বলেছেন। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছি। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই হিংসার এমন বীভত্স প্রকাশ। রাজ্যে আইপিএস অফিসাররাও ঠিক করে কাজ করছেন না। এমনকী মুখ্যসচিব পর্যন্ত…। রাজ্যে আমলাতন্ত্র এখন রাজনৈতিক দলের দাস। আমলারা জনতার জন্য নয়, সরকারের জন্য কাজ করেন। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সাংবিধানিক প্রধান হয়ে আমি এটুকুই বলতে পারি।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন উৎসবের মরশুমে মানুষের পাশে থাকবেন। তাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন না। কিন্তু তারই মধ্যে রাতারাতি কলকাতায় এসে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎকার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ।