অনিসা মান্না ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – বরাবরই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মৎস্যজীবীরা মৎস্য শিকার করতে বেরিয়ে পড়ে। বন্যা অঞ্চলে এবারেও মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বাহান্ন বছর বয়সি শ্রীনিবাস । ছোট থেকেই বাড়ির বড়দের দেখে এসেছে এমন ভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মৎস্য শিকার করতে। তিনিও সারাটা জীবন এমন মৎস্য স্বীকার করেই তার এবং পরিবারের লোকজনের পেট ভরিয়েছেন। সোমবার দুপুরে মৎস্য স্বীকার করতেই বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আর ফেরা হল না । প্রাণ হারাতে হল বাঘের হানায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কিশোরী মোহনপুরের বাসিন্দা তিনি। লক্ষ্য ছিল কাঁকড়া সংগ্রহ করা। ওই কাঁকড়া ধরে এনে বাজারে বিক্রি করলে দু’পয়সা আয় হবে। যা দিয়ে কয়েকটাদিন সংসার চলে যাবে। পেট ভরে খাবার পাবেন পরিজনেরা। তাঁদের মুখে ফুটবে হাসি। তবে সোমবার দুপুরেই ছন্দপতন। বেলিফিলির জঙ্গলে পিছন দিক থেকে শ্রীনিবাসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গীসাথীরা বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তাঁকে। তবে লাভ হয়নি। পরিবর্তে শেষ হয়ে যায় সব কিছু। প্রাণ হারান শ্রীনিবাস। ঘটনাটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। পরিবার-পরিজনেরা ভেঙে পড়েছে । পুলিশ তার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তার কাছে মৎস্য স্বীকার করার সমস্ত নথিপত্র ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।