টাইমস বাংলা ডেস্ক, হায়দ্রাবাদ – কদিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র চার বছরের শিশুটি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রথমে শিশুকে হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে হায়দরাবাদের নিলোফার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ভরতি হওয়ার পরপরই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় চার বছরের শিশুকে। শিশুর নাম মহম্মদ খজা। শিশুর বাবা মহম্মদ আজমের অভিযোগ, খজার অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল। খুব শিগগিরিই তা দিতে হত। অক্সিজেন দেওয়ার জন্য ১০০ টাকা ঘুষ চায় সুভাষ নামের ওই স্বাস্থ্যকর্মী। ঘুষ দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। এ নিয়ে বচসা হলে অক্সিজেন না দিয়েই আইসিইউ ছেড়ে চলে যায় সুভাষ। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালের শয্যাতেই মারা যায় চার বছরের শিশু। এই অভিযোগেই তোলপাড় হয় গোটা হাসপাতাল চত্বর। বিক্ষোভ মিছিল করে ওই শিশুর পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তোলেন আজম ও তাঁর পরিবার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিলোফার হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট ডা. ভি মুরলীকৃষ্ণ জানান, অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই কর্মীকে নিয়োগ করা হয়নি। কোনও একটি এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করতে এসেছিল সে। সুতরাং সুভাষের বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।