অনিসা মান্না, কালনা , টাইমস বাংলা ডেস্ক – মশারির ভেতর পড়ে আছে এক মহিলা এবং তার ছেলের মৃতদেহ। পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মহিলার ভাইয়ের মৃতদেহ। ঘটনাটি মন্তেশ্বরের খান্দরা গ্রামের ঘটনা। ঘটনাটির কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাতে। রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতো পরিচারিকা আসেন। ডাকাডাকি করে কারোর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরিচারিকা মহিলার মেয়ে, জামাইকে সেকথা জানান। এরপরই ওই প্রৌঢ়ার মেয়ে ও জামাই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। উৎপল চট্টোপাধ্যায়কে একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। পাশের ঘরটিতে তালা দেওয়া ছিল। ওই ঘরে ঢুকে হকচকিয়ে যান তাঁরা। ওই ঘরে আর ঢোকেননি তাঁরা। খবর দেওয়া হয় মন্তেশ্বর থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে বিছানায় মশারির ভেতরে থাকা মৃত মহিলা এবং তার ছেলেদের। পরে পুলিশ তিনটি দেহকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে , উৎপল তার দিদি এবং ভাগ্নাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করেছে। পরে তিনি পাশের ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর,নিহত বছর পঞ্চাশের মালবিকা চক্রবর্তী খান্দরার বাসিন্দা। প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। ছেলে কৌশিককে সঙ্গে নিয়েই বাস করতেন তিনি। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বেশ কয়েকবছর আগে নাদনঘাট থানার দীর্ঘপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ার ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায় দিদির বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। বেশ কয়েকদিন ধরে দিদি ও ভাগ্নের সঙ্গে মনোমালিন্য হচ্ছিল না উৎপলের। সে কারণেই হয়তো তিনি দিদি এবং ভাগ্নাকে খুন করেছেন । তবে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মৃতার মেয়ে এবং জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।