অনিসা মান্না, বাঁকুড়া, টাইমস বাংলা ডেস্ক – বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার সাবরাকোন অঞ্চলের মাণ্ডি গ্রামে খুন হলেন তৃনমূল কর্মী। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে খুনের কারণ গ্রাম্যবিবাদ, এতে কোনো রাজনৈতিক সূত্র নেই। দিনকয়েক আগে বাঁকুড়ার মাঝিপাড়ায় গরু বাঁধা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। সেই অশান্তির মীমাংসা করতে শনিবার সাবরাকোন অঞ্চলের মাণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় রায়ের বাড়িতে বসেছিল সালিশি সভা। সেখানে আচমকাই চলে যান বিপ্লব রায় নামে ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, সালিশি সভা চলাকালীন বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিপ্লব। মুহূর্তের মধ্যে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে। গুরুতর আহত হন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটির কথা জানাজানি হতেই রক্তাক্ত ও বেহুশ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তারই দলীয় কর্মীরা। প্রথমে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বিপ্লবকে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর। তালডাংরা থানায় তার স্ত্রী খুনের অভিযোগ করলে পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জনকে গ্রেফতার করে। রাজনৈতিক কোনও কারণে খুন নাকি তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর নেপথ্যে গ্রাম্য বিবাদই দায়ী, সে বিষয়টি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। ধৃতদের জেরা করে বিপ্লব রায়কে খুনের আসল কারণ জানা যাবে বলে আশা তদন্তকারীদের।