অনিসা মান্না, উত্তর ২৪ পরগনা,টাইমস বাংলা ডেস্ক – আজ শনিবার উপনির্বাচনের দিন । কদিন ধরেই উত্তপ্ত হতে থাকা খড়দহ উপনির্বাচন কেন্দ্রে আজও উত্তেজনা ছড়াল। অতিরিক্ত ২০ কোম্পানির সেনা মোতায়েন থাকলেও এড়ানো যাচ্ছে না কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাকে । সুস্থভাবে সম্পূর্ণ উপনির্বাচন প্রক্রিয়াটি করা নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে তার একঘন্টা অতিবাহিত হতে না হতেই উত্তপ্ত হল এলাকা। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যিনি রাজ্যের মন্ত্রীও। ভোটকেন্দ্র কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে প্রার্থীর পরিচয়পত্র থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর অন্যান্য পরিচয়পত্রও দেখতে চান বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শোভনদেব। সেখানে জওয়ান এবং ভোটকর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় প্রার্থীর। পরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগের সুরে বলেন, ”ভোটারদের কোভিড ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখতে চাইছে নিরাপত্তা কর্মীরা। ওঁদের এই এক্তিয়ার নেই।” এভাবেই খড়দহের একাধিক জায়গায় ভোট ঘিরে সকাল থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল।
আবার অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। জয় সাহার অভিযোগ, ”বুথের সামনে তৃণমূলের লোকজন স্লোগান দিচ্ছিল, যা একেবারেই করা যায় না। আমি সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। তখনই আমার দিকে তেড়ে আসে। গো ব্যাক বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। আমি সব ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। এভাবে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না।” এরপর তিনি কমিশনে অভিযোগ জানাতেই রিপোর্ট তলব করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।