অনিশা মান্না, টাইমস বাংলা ডেস্ক,ত্রিপুরা- শুক্রবার গভীর রাতে কুণাল ঘোষকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আর শনিবার ত্রিপুরার খোয়াই থানায় তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কুণাল। তবে পুলিশের এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি থানায় হাজির হবেন এমনটাই বলেছিলেন কুণাল। এই মুহূর্তে দলের কাজে ত্রিপুরাতেই রয়েছেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সেখানে যাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে কুণাল ঘোষকে এভাবে ডেকে পাঠানো ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। একদিনের মধ্যে, মানে আজ শনিবার থানায় ডেকেছে।” কিন্তু কী কারণে তাঁকে এভাবে ডেকে পাঠাল পুলিশ? টুইটে এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, ”আমি হিন্দু হয়েও বলছি ‘জয় শ্রীরাম’ রাজনৈতিক স্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতাল প্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন। আমি সভায় বলেছিলাম, জনবিরোধী নীতি জনগণকে পর্যুদস্ত করা বিজেপি নজর ঘোরাতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে।” বর্তমান ত্রিপুরার পরিস্থিতিতে এহেন মন্তব্য অনেকটাই প্রভাব ফেলবে ত্রিপুরার মানুষদের উপর। তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ”আমিও হিন্দু। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী। আমিও রামচন্দ্রকে নমস্কার করি। কিন্তু তাঁর নামে ভোটের রাজনীতির বিরোধিতা করি। কিন্তু মা, বোনেদের বলব জয় শ্রীরাম বলে কেউ বিজেপির ভোট চাইতে এলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন রামচন্দ্র রাজা হলেও মা সীতাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কেন জঙ্গলে যেতে হয়েছিল? কেন পাতাল প্রবেশ করতে হয়েছিল? বিজেপি হিন্দুত্বের দোকান খুলে ভোট চায়। আমরা ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা সম্প্রীতি, সংহতি চাই। ধর্ম থাকুক নিজের কাছে। রোটি কাপড়া ওর মাকানের অধিকারের লড়াই থাকুক রাজনীতির ময়দানে।”রবিবার আবার ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক সভা আর আসন্ন পুরভোটের আগেই বিজেপি কুণাল ঘোষকে গ্রেপ্তার করাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে উপর মহল এমনই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। এই মুহূর্তে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক আগরতলাতেই রয়েছেন। তাই নোটিসের নির্দেশ মেনে দুপুরেই থানায় গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েকদিনের সভায় উপরে বর্ণিত এই ধরনের মন্তব্য গুলি করার কারণেই, তৃণমূল মুখপাত্র কে তলব করা হয়েছে থানায় , এমনটাই দাবি করেছেন পুলিশকর্মীরা।