অনিসা মান্না, জলপাইগুড়ি, টাইমস বাংলা ডেস্ক -গাঁজা যে নিষিদ্ধ, তা জানে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কারারক্ষী। তা সত্ত্বেও সংশোধনাগারের ভিতরেই গাঁজা পাচার করেছে সে। অভিযোগ, সাজাপ্রাপ্তদের হাতে গাঁজা পৌঁছে দিত সে। তার বিনিময়ে আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা। গোপন সূত্রে সে খবর বারবারই জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশের কাছে আসে। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে শনিবার সকালে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তাকে। মহম্মদ মফিজুদ্দিনের কাছ থেকে দশ প্যাকেট গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। প্রশ্ন উঠছে, ওই কারারক্ষী কতদিন ধরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গাঁজা পাচার করত, গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ২রা অক্টোবর এই গাজা কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। অনেক টানাপোড়েনের পর শনিবার দিন সকালে জামিনে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন সে ।তারকা’র পুত্র হওয়া সত্বেও এনসিবি তাকে কোনো রকমের সাহায্য প্রদান করেনি ।তার মধ্যেই জলপাইগুড়িতে জেলের মধ্যে চলছিল গাঁজা পাচার । যার হাতে রয়েছে বন্দীদের অসামাজিক কাজ থেকে শুধরে সামাজিক কাজে যুক্ত করা সেই কারারক্ষীই হয়ে উঠেছিল গাঁজার প্রেরক। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা , যে কেউই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তদন্তকারীরা।