টাইমস বাংলা ডেস্ক – দীর্ঘ ২৬ দিনের টানাপোড়েনের পর মাদক কাণ্ডে জামিন পেল শাহরুখ পুত্র, আরিয়ান খান। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং সেশন কোর্ট না-মঞ্জুর করেছিল গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার শাহরুখ তনয়ের জামিন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার শুনানি শেষে আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করলেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নীতিন সাম্বরে। স্বভাবতই এই রায়ের জেরে স্বস্তির আবহ মন্নত। হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন শাহরুখ-গৌরী। আরিয়ান খানের পাশাপাশি এদিন মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার অপর দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচারও জামিন মঞ্জুর করেছে উচ্চ আদালত। গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার হন আরিয়ান খান। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। আরবাজ মার্চেন্টের থেকে ৬ গ্রাম এবং মুনমুন ধামেচার থেকে ৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছিল এনসিবি। তবে আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক মেলেনি। কিন্তু এনসিবি আদলতে বাখ্যা দেয়, ‘সচেতনভাবে আরিয়ানের কাছে মাদক ছিল’। এনসিবি হাই কোর্টকে জানায়, ছোটবেলার বন্ধু আরিয়ান-আরবাজ। তাঁরা একসঙ্গে যাত্রা করছিল, একটাই রুমে তাঁরা থাকত। সেখানে একজনের কাছে মাদক পাওয়ার অর্থ অন্য ব্যক্তি সচেতনভাবে সেই মাদক হেফাজতে রেখেছিল।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে এটাও বলা হয় যে এনসিবির আরিয়ান খান গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। এবং সেখানে বিপুল পরিমাণ মাদকের লেনদেন নিয়ে যে আলোচনা করেছে। যা কমার্শিয়্যাল কোয়ান্টিটির। পাশাপাশি মাদক চক্রীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। আরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ( ৬৫ বি সার্টিফিকেট সহ), পঞ্চনামা এবং সিক্রেট নোটের উল্লেখ করেন এনসিবির কৌঁসুলি। বৃহত্তর মাদকচক্রের অংশ আরিয়ান, বারবার এনসিবির এই দলিল দেওয়া সত্ত্বেও এদিন আরিয়ানের জামিনে শিলমোহর দিল আদালত। এদিকে শাহরুখপুত্রের মাদক যোগ কাণ্ডে এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে গ্রেফতার করেছে পুণে পুলিশ। পুরনো একটি প্রতারণা মামলায় বুধবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত। তোলাবাজির অভিযোগে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।