অনিসা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – রাজ্যে ৭ই নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গুটখার উপর। ২০১৩ সালের ২৩ শে এপ্রিল রাজ্যে নিষিদ্ধ হয় গুটখা ও পান মশলা। এরপর ফের ২০১৯ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ হয় গুটখা ও তামাকজাত দ্রব্য। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ একবছর করে বাড়তে থাকে। সেই নিয়মেই ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হল গুটখা। স্বাস্থ্য দফতরের কমিশনার অফ ফুড সিকিউরিটিস তপনকান্তি রুদ্র জানান, “গুটখা এবং তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, মজুত এবং বিক্রির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে রাজ্যে”। আগেও দু’বার গুটকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও, বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। এই আইন জারি করার ফলে বিক্রেতারা বলছেন ‘যেমন চলছে তেমনি চলবে। আইন জারি করে কিছু বন্ধ করা যাবে না’। একটি ছোট পানের দোকানের বিক্রেতার বললেন ‘আইন জারি করে কিছুই হবে না। কারখানা বন্ধ করতে হবে। লোকে চায় তাই আমরা বিক্রি করি’। পার্কস্টিটের পানশালার মালকিন জবা দেবী বললেন ‘এই আইনের কোনো ফল পাওয়া যাবে না । কাউকে তো আর জোর করে বিক্রি করছি না । লোকে চায় তাই বিক্রি করি, আমি না বিক্রি করলে অন্য দোকান থেকে কিনবে ওরা।
এই কথাটি চরম সত্য। কোন জিনিসের এদেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা রমরমিয়ে চলতে পারে ভারতে। এটিকে শুধুমাত্র আইন জারি করার মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব নয়। বেলঘড়িয়ার রেল স্টেশনের পাশেই একটি ছোট্ট স্টলের মালকিনেরও একই মত। তিনি বলেন , নেশাজাতীয় দ্রব্য বন্ধ করা একটি আইনের কাজ নয় । এজন্য কড়া নজরদারির প্রয়োজন। এখানে চাহিদা এত বেশি তার উপর এই আইন ফলবে না।