অনিশা মান্না, টাইমস বাংলা ডেস্ক – গত ১৫ ই আগস্ট কাবুল দখল করেছিল তালিবান জঙ্গিরা। দুই দশকের যুদ্ধের পর আফগানিস্তান ছেড়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনীরা। কিন্তু এখনও তালিবানদের পুরোপুরি শাসন ব্যবস্থা আফগানিস্থানে স্থাপন করার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমেরিকা । আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার দাবি ,আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইএসআই অথবা তালিবান এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ আমেরিকায় হামলা চালাতে পারে। তাই নিয়ে সতর্ক থাকছেন আমেরিকার সেনাবাহিনী। মসজিদ থেকে শুরু করে অন্যান্য অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলা ঘটিয়ে ইতিমধ্যেই তালিবানকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আইএস। তাদের উত্থান কেবল তালিবান নয়, ভাবাচ্ছে আমেরিকাকেও। আফগানিস্তানে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সেনা সেদেশ ছাড়ার পর থেকেই। আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। তারই কোনো সুযোগ নিতে পারে আমেরিকা। আল কায়দাও এক থেকে দু’বছরের মধ্যে আগের চেহারায় ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান খুব দ্রুত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির ‘স্বর্গ’ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও তালিবান জানিয়েছে, আফগান মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনও রকম জঙ্গি হামলা হতে দেবে না তারা। তাও কোন জনগোষ্ঠীর উপর ভরসা রাখছে না আমেরিকা। পেন্টাগনের সিনিয়র আধিকারিক কলিন কাল মার্কিন কংগ্রেসে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, আইএসআই ৬ মাসের মধ্যেই আমেরিকায় হামলা চালানোর মতো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এবং তারা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে আল কায়দার উত্থানের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। যাতে এই দুই গোষ্ঠী কোনও ভাবে আমেরিকায় হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করাই আমেরিকার লক্ষ্য বলেই জানিয়েছেন কলিন।