অনিসা মান্না, টাইমস বাংলা ডেস্ক – ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির যেন মন টিকছে না ঘরে। পুজোর সময় যেমন ভিড় হয়েছিল উত্তরবঙ্গে তেমনি শীতকালের ছুটিতেও ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা দুবাই ও মালদ্বীপে। কাছাকাছি কম খরচে ঘোরার মধ্যে যথাযথ ছিল পাটায়া ও ব্যাংকক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই সব জায়গায় দরজা এখনো পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি ভাবে না খোলার কারণে তারা এইসব দেশে ভ্রমণের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে । ইউরোপে দিকেও নজর পরেছে কিছু কিছু ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি। দুর্গোৎসবের আগে থেকেই এই ট্রেন্ড ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।
কিছু কিছু দেশ যেমন দুবাই, যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, শ্রীলঙ্কা এইসব দেশে কোয়ারান্টাইন, টিকা করন, এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা এই সব শর্ত সাপেক্ষে পর্যটন শিল্পের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে ।যথাযথ খুব তাড়াতাড়ি আরো কয়েকটি দেশ এই পথে হাঁটতে চলেছে।ইতিমধ্যেই যে দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে সেগুলিতে ভ্রমণ শুরু করে দিয়েছে ভারত তথা বঙ্গবাসী।
ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ইস্টার্ন রিজিওনের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি জানিয়েছেন “আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য মানুষের প্রথম পছন্দ ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ ও দুবাই।আন্তর্জাতিকের তুলনায় ডোমেস্টিক খুব ভাল হয়েছে এ বছর। অন্য বছর আন্তর্জাতিক বেশি ভাল হয়। ৪০ শতাংশ অন্তর্দেশীয় ও ৬০ শতাংশ আন্তর্জাতিক হত। এবার সেটা ৮০ শতাংশ ডোমেস্টিক ও ২০ শতাংশ আন্তর্জাতিক হয়ে গিয়েছে।” অন্তর্দেশীয় পর্যটনের এই বৃদ্ধি আশাতীত বলেই জানা গিয়েছে। মানব সোনি বলেন, “ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারে দুবাইয়ের বিমান ভাড়া ৩০ হাজারের কাছাকাছি থাকত, সেটা এখন প্রায় ৭০-৭৫ হাজার হয়ে গিয়েছে। সেই ভাড়াতেই মানুষ বুক করছে।” তবে, চলতি বছর আন্তর্জাতিককে টেক্কা দিচ্ছে অন্তর্দেশীয় পর্যটন। অন্তর্দেশীয় হোক বা আন্তর্জাতিক। পর্যটনের ক্ষেত্রে আবশ্যিক হয়ে উঠেছে কোভিড টিকাকরণ। ফলে, ভারতে ১০০ কোটি টিকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়াকে সুনজরে দেখছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। ১০টি জাতীয় পর্যটন, ভ্রমণ এবং হসপিটালিটি শিল্প সংস্থার মিলিত সংগঠন ফেথ (ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি)-এর জন্য কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, সাংসদ, বিধায়ক ও টিকাযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। গত দু’বছরে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে মানুষ আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে এবং এতে আশার আলো দেখছে বিশেষজ্ঞরা।