অনিসা মান্না, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল মৎস্যজীবী এক যুবকের। মৃত মৎস্যজীবীর নাম শংকর ভক্তা। বয়স ২৩ বছর। পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দ্বারকাপুরের বাসিন্দা তিনি। কলসদ্বীপে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গীরা তার প্রাণ বাঁচানোর প্রচুর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত প্রাণ রক্ষা করা গেল না। সোমবার রাতে নৌকাতেই মৃত্যু হয় তার। প্রতিবেশী জয়ন্তী ভক্তা বলেন, “সোমবার রাত ৮ টার সময় নৌকোয় বসে খাচ্ছিলাম সবাই। তখন হঠাৎ করে বাঘ পিছন দিক থেকে শংকরের ঘাড়ে কামড় বসায়। নৌকো থেকে টেনে নামিয়ে নেয় জলে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা কয়েকজন কাঁকড়া ধরার শাবল দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করি বাঘকে। কয়েকজন নৌকো থেকেই পা টেনে শংকরকে বাঘের মুখ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। অবশেষে হার মানে বাঘ। শংকরকে নৌকোয় তোলার পরই মারা যায়।” সূত্রের খবর, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জি-প্লটে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন শংকর। শুক্রবার শ্যালক উত্তম নায়েক, শ্যালকের স্ত্রী তপতী নায়েক ও প্রতিবেশী জয়ন্তী ভক্তা, হুকুল ভক্তা, সুভাষ ভক্তা ও গুরুবাড়ি ভক্তার সঙ্গে দাসপুর থেকে যন্ত্রচালিত ভটভটি নৌকোয় কলসদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেন শংকর। কাঁকড়া ধরতেই গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হল না। তার মৃত্যুর খবর জানার পরে ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজনেরা। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কথা কাউকে বলতে গিয়েও ভয়ে শিউরে উঠছে তার সঙ্গীরা। মঙ্গলবার সকালে তাকে স্থানীয় মাধবনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শঙ্করের দেহটিকে। সেইখানেই আসে তার পরিবার। সংসারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটিকে হারিয়ে কান্নার কোলে ঢলে পড়েছে গোটা পরিবারটি।