অনিশা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – সম্প্রতি কলকাতার একটি অদ্ভূত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কাজটি করেছেন, পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইন্দ্রনীল সাহা। ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, এক যুবক ইদানীং তাঁর কাছে ‘স্পার্ম কাউন্ট’ করে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে আসেন। যুবকের কাতর আর্ত ছিল, “প্লিজ টেস্টটা করে দিন”। আমার হবু শ্বশুর রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন। শুনেতো অবাক ডাক্তার। এমন পরীক্ষা আগে কখনো শুধুমাত্র শ্বশুরের কাছে বিয়ে পাকা করার জন্য করেননি চিকিৎসকরা। আধুনিক যুগে বিয়ের নানারকম সোশ্যাল মিডিয়া সাইট খোলার সাথে বিয়ের আগে নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা করাও নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে থ্যালাসেমিয়া, এইডসের মত রোগ যুক্ত পরীক্ষাগুলি করানো হয় । কিন্তু বীর্য পরীক্ষা তাও আবার শ্বশুরের কথায়। এরকম ঘটনা এখনো পর্যন্ত বিদেশের মাটিতেও লক্ষণীয় হয়নি। চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা এই বিষয়ে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইটে পোস্ট করে বিষয়টি। পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছেন। একজন প্রশ্ন তুলেছেন, “জামাই কি রেসের ঘোড়া? বিয়েতে নামার আগে দেখে নিচ্ছেন, রেসে কেমন দৌঁড়বে!”। ‘অল বেঙ্গল মেনস ফোরাম’-এর সভানেত্রী নন্দিনী ভট্টাচার্য তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “১৯ শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। তার আগেই কলকাতার এই অমানবিক ঘটনাটি বিশ্বের নজরে আনা হবে। মেয়েরা মা হতে সক্ষম কি না তাও যাতে বিয়ের আগে যাচাই করা হয়, সেই দাবি তোলা হবে।” ইন্দ্রনীল পোষ্টটিতে জানিয়েছেন, “এর পর তো পাত্রপক্ষ পাত্রীর ফ্যালোপিয়ান টিউব পরীক্ষার দাবি তুলবে। তখন?” বহু ডাক্তারই ইন্দ্রনীলবাবুর পোস্টে কমেন্ট করেছেন। ঘটনার নিন্দা করেছেন। তাঁদের মত, এভাবে দরদাম করে সম্পর্ক তৈরি হয় না। এমন ঘটনা সত্যিই অবাক করেছে কলকাতা বাসীকে।