অনিসা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – কলকাতায় রবিবার পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার পিছু ১০৮ টাকা ১১ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৪৩ পয়সা। এই নিয়ে টানা চতুর্থদিন চারবার দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। এদিনও গড়ে ৩৫ পয়সা করে দাম বাড়ে। আর দু’দিন দাম বৃদ্ধি হলেই মহানগরেও ডিজেল সেঞ্চুরি করে ফেলবে। কদিন আগেও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার পিছু পয়সা কমিয়ে ছিল কেন্দ্র। কিন্তু তারপরে প্রতিদিনই নিয়ম মেনে বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। পেট্রোলের এমন দাম বাড়তে থাকার কারণে ,মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তদের। বাস ভাড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এমন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হতে থাকলে তাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হতে চলেছে। এমনিতেই করোনার কারণে কম বেশি সব ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। তারপরে এমন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপদে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। পেট্রোপণ্যের দাম শুধু মাত্র কলকাতাতেই নয়, বেড়েছে মুম্বাই , দিল্লিতেও ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে পুরো ভারতবাসীকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারের হলেও শুল্কের হার পেট্রোলে লিটার পিছু ৩২.৯ টাকা এবং ডিজেলে ৩১.৮ টাকাই রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের বৃদ্ধির জেরে সারা দেশে পেট্রোপণ্যের দাম সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেল। তবু শুল্ক কমানোর পথে হাঁটছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
২০২০-র মে মাসের থেকে দেখা যাবে, মাত্র দেড় বছরে পেট্রলের দাম লিটার পিছু ৩৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২৬.৫৮ টাকা করে বেড়েছে। সে সময় জ্বালানি দু’টির উপর করের হার রেকর্ড মাত্রায় বাড়ানো হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১৯ ডলার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেলে শুল্ক বাড়িয়েছিল লাভ বাড়াতে। অন্যথায় দাম কমে যাওয়ার সুবিধা পেতেন ভারতীয় উপভোক্তারা। এইসব কারণে, কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করতে জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, “নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে আন্দোলনে নামছি আমরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। পদযাত্রার আয়োজন করা হবে।”