টাইমস বাংলা ডেস্ক- ব্রেস্ট ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয় । দেহের অংশ বাদ দিতেই হবে তাও নয়। ক্যান্সারকেও নানা ভাগে বিভক্ত করা হয় । তার উপরই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে । এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা আরও জানান রোগ এর ভয়াবহতা না জেনে আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এই আতঙ্ক-বেড়েছে আমেরিকান অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যের পরিচালিকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। স্তন ক্যান্সারের কারণে দেহের সেই অংশটি বাদ দেওয়ার পর। মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক, আর ভয় দুই যেন আরও চেপে বসেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন স্তনের ক্যানসার মানেই মৃত্যু এবং শরীর থেকে স্তন বাদ দেওয়া, এই ধারণা এখন অতীত। ইতিহাস বলছে, ১৮৮০ সাল নাগাদ স্তনের ক্যানসার ধরা পড়লে অবধারিতভাবে বাদ দেওয়া হত স্তন। তখন কেমোথেরাপি চালু হয়নি। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পথ দেখায় স্তন বাদ না দিয়েও স্তনের ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব। ২০০০ সাল নাগাদ কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে প্রথম স্তনের ক্যানসারের অপারেশন হয়। যেখানে ২০ শতাংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভারতে প্রতি ২৮ জনের একজন ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে তা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছবে। সম্প্রতি অপারেশন ও রেডিয়েশনের মাধ্যমে স্তনের ক্যানসারের চিকিৎসা নতুন বিপ্লব এনেছে। ২০২০ সালেই আরও একটি গবেষণাপত্র সামনে এসেছে , যেখানে বলা হয়েছে, স্তন বাদ না দিয়ে শুধুমাত্র অপারেশনের মাধ্যমে ক্যানসারের চিকিৎসা করা যায়। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে।