টাইমস বাংলা ডেস্ক – করোনায় শ্বাসকষ্ট যত বেশি, ক্ষতি হয় ততটাই। তবে সঠিকভাবে সে ক্ষতি ধরতে গেলে প্রয়োজন সিটি স্ক্যানের। রাজ্যের একশো জন করোনা আক্রান্তের সিটি স্ক্যান করালে ষাট জনের ফুসফুসেই দেখা যাচ্ছে একধরনের ধূসর প্যাচ। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন আতশবাজির ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে করোনা জয়ীদের । কারণ করোনা সংক্রমনের কারণে তাদের শরীরে ফুসফুসের কিছু স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেছে , যা এই ধোঁয়ার কারণে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ দূরে থাকুন আতশবাজি থেকে। করোনা জয়ীদের ফুসফুসের পাওয়া এই ধূসর প্যাচকে চিকিৎসকরা বলছেন, গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটি। ফুসফুসের জাতশত্রু লুকিয়ে বাজির ধোঁয়ায়। চারপাশ ঢেকে যায় সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই অক্সাইডে। সেই বিষাক্ত ধোঁয়া ফুসফুসে গেলেই সমস্যার শুরু। ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ তো বটেই, সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ। চিকিৎসকরা বলছেন, চরকি, হাউই, তুবড়িতে থাকে গন্ধক, লোহাচুর, এমনই কিছু পদার্থ ভেসে বেড়ায় বাতাসে যা আতশবাজির ধোঁয়ায় আরো দ্বিগুন হয়ে যায়। ফলে এর ক্ষতি করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় অনেক গুণ।
মেডিসিন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, বাতাসে ভাসমান আণুবীক্ষণিক সে ধূলিকণা, বিষাক্ত ধোঁয়া ও অতিরিক্ত ভাসমান ধূলিকণা নাক মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তা থেকে শ্বাসনালি, ফুসফুসের মারাত্মক রোগ হতে পারে। প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনাজয়ীদের কাশি সারেনি এখনও। মাঝে মধ্যেই শুকনো কাশি উঠে আসছে। সমস্যা হচ্ছে গভীরভাবে শ্বাস টানতে, শ্বাস ধরে রাখতে। মৃদু উপসর্গের করোনার রোগীদের ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়েছে তা সারতে ৬-১২ মাস লাগে। এর উপর যদি আতশবাজির ধোঁয়া ঢোকে তাহলেই সর্বনাশ। তখন কোনওদিন ফুসফুস পুরোপুরি কাজ করবে না। কার্যকারিতা ফিরে আসবে বড়জোর ৬০-৭০ শতাংশের।
Thanks for the good article, I hope you continue to work as well.Спаситель на продажу