অনিসা মান্না, কলকাতা,টাইমস বাংলা ডেস্ক – গত দু’বছর ধরে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে চলছে জটিলতা। করোনার কারণে দুটি পরীক্ষায় দিতে পারেনি ছাত্রছাত্রীরা। ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে সক্ষম হলেও, বাকি থেকে যায় উচ্চ মাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা। মূল্যায়ন করা হয়েছিল সম্পন্ন হওয়া পরীক্ষা গুলির উপর। কিন্তু 2021 সালে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কোন পরীক্ষায় নিতে পারেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হয় ক্লাস নাইনের প্রাপ্ত নম্বর অনুসারে আর উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হয় ক্লাস ইলেভেনের প্রাপ্ত নম্বর অনুসারে। সিবিএসই বোর্ড দুই দফায় অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার পর সেই পথেই এগোচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রস্তাব জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে। অফিশিয়ালি মুখ না খুললেও প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে স্কুল শিক্ষা পর্ষদ। ২০২২ সালের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা সমাধানের কোনো পথ পায়নি সংসদ তাই হয়তো পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে পারে বোর্ড গুলি। চলতি বছরে করোনা কারণে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক দুটো পরীক্ষা হয়নি। আগে ক্লাসের পাওয়ার নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে মার্কশিট পাঠানো হয়েছে । জেলায় জেলায় তাদের জন্য প্রশ্ন পত্র পাঠানো, খাতা পাঠানো, শিক্ষকদের সাম্মানিক ভাতা ইত্যাদি খাতে খরচ হয়নি তাও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি নিয়েছে পর্ষদ গুলি এই নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্কুল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে সব টাকা, যা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ দিয়ে ফি বাবদ আদায় করা হয় ।নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে যাতে এইসব টাকা ওখানে গিয়ে জমা হয় । প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন আগের বছরের নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছে। ২০২২ সালের পরীক্ষা ও করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যেকোনো প্রস্তাবে সায় দেবে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।