অনিশা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পর থেকেই সল্টলেকে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, থানায় পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর তা জেলা নেতৃত্বের কানে পৌঁছেছে। ক্ষুব্ধ জেলা নেতৃত্ব। কারণ এইসব খবর প্রকাশ্যে এলে বিরোধীরা সুযোগ নিতে পারে। উদয়নবাবু বরাবরই সব্যসাচী দত্তের শিবিরের লোক বলেই পরিচিত। তাই সব্যসাচী নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে বলেও অনেকে মনে করছেন। কারণ সব্যসাচীর সঙ্গে সুজিত বসুর সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত বলেই সবাই জানে। আর সুপ্রিয়বাবু মন্ত্রী সুজিতবাবুর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের। তাই সব্যসাচী যেমন পিছন দিক দিয়ে প্রভাব বাড়াতে চাইছেন তেমনই মন্ত্রীও ব্যাকডোর দিয়েই খেলে দিচ্ছেন। নীচুতলার নেতাদের মধ্যেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গেলেও আসলে লড়াইটা মাথায়–মাথায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশলীরা। বিরোধীরা জানাচ্ছেন সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে বোঝা যায় আসলে খেলা হচ্ছে ওপর মহলে নিচের তলার দলের কর্মীদের দিয়ে। শুধুমাত্র খেলানো হচ্ছে যাতে তাদের গায়ে হাত না লাগে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি দেখা গিয়েছে রাজারহাট–গোপালপুরেও। এখানে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কো–অর্ডিনেটর রতন মৃধা। সেখানের আগের কাউন্সিলর শিবু ভান্ডারি সব্যসাচীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল বলে রতনকে কো–অর্ডিনেটর করা হয়। সূত্রের খবর জানতে পারা যায় এই রতনের নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে বিধাননগর পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। আর তাঁকে অপসারণের দাবি করা হয়েছে। রতন নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং রাজারহাটের যুব নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ। আর তাপস চট্টোপাধ্যায় সব্যসাচীর বিরোধী।