টাইমস বাংলা ডেস্ক – মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার রামগড়। জলের তোড়ে যে কাদা এবং নোংরার স্তূপ ভেসে এসেছে, তাতে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ নিয়ে টানা তিনদিন প্রবল বৃষ্টি হয়ে চলেছে গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়ে। বহু এলাকায় বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছে জল। ফলে শয়ে শয়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে গাছে। ঘরছাড়া মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সে রাজ্যের হরিদ্বার, দেরাদুন, আলমোরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে এনডিআরএফের ১০টি দল। তবে শুধু ঘর-বাড়ি, অফিস-কাছারিই নয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গৌলা নদীর উপরের ব্রিজটিও। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১৬। যার মধ্যে শুধুমাত্র মঙ্গলবারই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নেপাল থেকে আসা শ্রমিকও। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে রামগড় এবং ওখলাদান্দা ব্লকের হড়পা পান আছড়ে পড়ে। নৈনিতালের জেলাশাসক ধীরাজ সিং গারবিয়াল বলেছেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নৈনিতাল শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রামগড় ব্লকে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়কা বান হয়। তার জেরে রামগড় এবং ওখলাদান্দায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রামগড়ের খিলাড়ি গ্রামে কাদা এবং নোংরার স্তূপে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ সোমবার থেকেই উত্তরাখণ্ড-সহ উত্তর ভারতের একাংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে যে তীর্থযাত্রীরা এসেছেন, তাঁদের আপাতত চারধাম যাত্রায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।