টাইমস বাংলা ডেস্ক – আগামী ৩০শে অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই চার কেন্দ্র হল— দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা এবং খড়দহ। ২ রা নভেম্বর হবে ভোট গণনা। আগেই এই চার কেন্দ্রে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তা বাড়িয়ে দেওয়া হল। এমনকী শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে রবিবার রুটমার্চও করেন জওয়ানরা। তাতে তুঙ্গে উঠেছে নির্বাচনের মেজাজ। এই বাহিনীর হুড়োহুড়ি অবশ্য বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের জন্যই। দিনহাটায় প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভে মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। তারপর তিনি বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানালেন তারপরই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়। যা রীতিমত তৃণমূল সমর্থকদের নজর কেড়েছে, এটি কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি বিজেপি বাহিনী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । তৃণমূল প্রার্থীরা এই বিষয়টিকে প্রচারের খরচ হিসাবে ব্যবহার করতে পারে বলে অনেক রাজনৈতিকবিদ্ মনে করছেন। আগের উপনির্বাচনে ৩-০ ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এইবারের সেই ফল ৪-০ পৌঁছাতে চায় বিজেপি প্রার্থীরা। তার জেরে হয়তো প্রচার বেড়েছে বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নির্বাচন নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় সেই জন্য বাড়তি বাহিনী আনা । যা হয়ে দাঁড়ায় ৮০টি কোম্পানির। নির্বাচনের পরে ৭২ কোম্পানি বাহিনী ফিরে যাবে। কোম্পানির পায়ের আওয়াজে উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার মেজাজে ফিরেছে বাংলা।