অনিশা মান্না, কলকাতা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – করোনা সংক্রমনের দাপট না বাড়লে বড়দিনের আগেই আগামী ১৯ শে ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে পারে পৌরসভা ভোট। কলকাতার ১৪৪ টি এবং হাওড়ায় ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোট সংগ্রহ করা হবে। এই দিন অবশ্য নব গঠিত কেন্দ্র ময়নাগুড়ি ও ফলকাটাতে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ভাইফোঁটার পর জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। দুই পৌরসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে ২২শে ডিসেম্বর বুধবার । দেশের শীর্ষ আদালত সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত পৌরসভা ভোট চালু করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়নি। এখন করোনা পরিস্থিতি একটু কম থাকায় এই সিদ্ধান্তে এগোতে পারে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছে “নির্বাচন কমিশন যে দিন ১১২ টি পৌরসভা ভোট ঘোষণা করুক না কেন আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি” । মাসখানেক ধরে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার আর তারই মাঝে ভোট করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে রাজ্য নেতৃত্ব ১৪৪ টি আসনে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে তা স্বীকার করেছে বিরোধীরা। কলকাতা, হাওড়া জেলার অধিকাংশ পৌরসভার বিরোধীদলের ছন্নছাড়া অবস্থা, বিশেষ করে অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারবেনা বলে দাবি করেছে ঘাসফুল। পৌরসভা ভোটে জয়লাভ করার সুবর্ণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিশেষ করে উল্লেখ্য পুজোর ছুটির আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন’ বিধানসভার উপনির্বাচনের সম্পন্ন করার। পরে পৌরসভা ভোট সম্পন্ন করতে, কিন্তু অতিমারির বাড়াবাড়ির কারণে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে পুরদপ্তরের এক অফিসার বলেছেন, ১১২ টি পৌরসভা ভোট সম্পন্ন করতে ১৮৫ কোটি টাকা চেয়েছে কমিশন। পাঁচ বছর আগে পৌরসভা খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বাজেট কমিশনের।সূত্রের খবর, আসন সংরক্ষণের চক্রাকার নিয়ম মেনে সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হবে । ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৩ টি আসন রয়েছে এর মধ্যে মহিলাদের জন্য ৪৫ টি ও তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য আসন সংরক্ষণ রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া,মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে পুরুলিয়াতে ও দাপুটে নেতারা নিজের এলাকাতে প্রার্থী হতে পারছে না। এবার বালির ১৬ টি ওয়ার্ড জুড়ে মোট ৬৬ টি ওয়ার্ডে হাওড়ার ভোট সংগ্রহ হবে ১৯ ডিসেম্বর। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি গ্রহণ করা হয়নি শুধু মাত্র সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত। কমিশনের তরফ দিয়ে তারা জানিয়েছেন ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যেমন নেই তেমন কেন্দ্রীয় বোর্ডের কোনো পরীক্ষাও নেই তাই কলকাতা ও হাওড়ার পুরসভা ভোট ১৯শে ডিসেম্বর গ্রহণের অসুবিধা নেই।