টাইমস বাংলা ডেস্ক – বৈষম্যমূলক মন্তব্যের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংকে। তবে গ্রেফতারির কিছুক্ষণ পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। হাঁসির পুলিশ সুপার নীতিকা গেহলট জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তকারী অফিসার ডেপুটি পুলিশ সুপারের বিনোদ শঙ্করের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবরাজ। পুলিসের তদন্তেও সাহায্য করেন। তাঁকে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাঁসির পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘গ্রেফতারির পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন উনি। ইতিমধ্যে আমরা তাঁর ফোন নিয়েছি।’ গত বছর ইনস্টাগ্রামে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ আড্ডায় তিনি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য উপচে পড়তে থাকে। হাঁসির এক আইনজীবী রজত কালসান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, যুবরাজের মন্তব্যে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। প্রচুর মানুষ সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন। ওই আইনীজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা, ১৫৩বি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের (প্রতিরোধ এবং নৃশংসতা) ৩ (১) (ইউ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে চলতি বছরের গোড়ার দিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন যুবরাজ। তারইমধ্যে সেই মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমায় ভুল বুঝেছেন। যা অযাচিত ছিল। তবে দায়িত্ববান ভারতীয় হিসেবে আমি বলতে চাই যে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কারও ভাবাবেগে আঘাত দিতে থাকি, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’