অনিশা মান্না,টাইমস বাংলা ডেস্ক – গত বুধবার অষ্টমী রাতে বাংলাদেশের নৈহাটি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পড়শি দেশের ঘটনায় এই দেশেও সাম্প্রদায়িক ছাপ পড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে, তাই বাড়তি সতর্কতা চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এডিজি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ডিজি রেলকে চিঠি দিয়েছে,তিনি চিঠিতে এই বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই সামাজিক মাধ্যম ভরে গিয়েছে বিভিন্ন মেসেজে এর ফলে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলির অতি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে এই ঘটনার পর থেকেই বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তাদের উত্তেজনা মূলক বক্তব্য পেশ করছেন। এই ঘটনা ঘিরে জাতি-ধর্ম সাম্প্রদায়িক হিংসা না ছড়ায় তার দিকে নজর রাখতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। সমস্ত পুলিশকর্তাদের আগাম সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে সমস্ত অফিসার ও বাহিনীকে সক্রিয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়। নেট মাধ্যমে নানা অপ্রীতিকর হ্যাশট্যাগ তৈরি হচ্ছে, তার রেশ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, তাই বাড়তি সতর্কতা রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। মানবাধিকার কমিশনারের পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। পড়শি দেশের ঘটনা কিছুটা হলেও ভারতের ওপর ছাপ ফেলেছে। ইসকনের চিঠি পেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন আগামী ১৮ ও ১৯ শে অক্টোবর রাজ্যে ফতেহা দোয়াজ দাহান নবীন দিবস পালন হবে এমন পরিস্থিতিতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থা কোথাও না হয় তার উপর কড়া নজরদারি তারা আর্জি জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির আঁচ এই দেশে পড়ার আশঙ্কা তীব্র। তাই তারা বাড়তি সর্তকতা চালু করেছে। এমন অবস্থায় কোন উস্কানিমূলক বা কোনো পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে যাতে না পারে তার তার দিকেও চালানো হচ্ছে নজরদারি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ স্টেশনের বাড়তি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। গোয়েন্দারা প্রতি পদক্ষেপে দ্বিগুণ নজরদারি রাখছে বলে সূত্রে খবর।