টাইমস বাংলা ডেস্ক, বর্ধমান – দশমীর সন্ধ্যেবেলায় তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরেননি তরুণী। তাঁকে জঙ্গল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিহরণ জাগানো ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। যদিও নির্যাতিতার বন্ধুর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে উঠছে প্রশ্ন। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমানের বাসিন্দা ওই তরুণীর বেশ কয়েক বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁর। সন্তানদের নিয়ে আপাতত বাপের বাড়িতেই থাকেন তরুণী। সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। দশমীর সন্ধেয় বাইকে চড়ে ওই যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতেই বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন। তবে রাত বাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি তরুণী। দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন তাঁর পরিজনেরা। শুরু হয় খোঁজখবর। ভোরের দিকে আউশগ্রামের একটি জঙ্গলে ওই তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান এখন কিছু জানতে পারেননি। কারণ তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় তরুণীকে জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর। এখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্যাতিতাকে। সেখানেই এখনও চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। এই ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিং রায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান। তরুণীর খোঁজখবরও নেন। সূত্রের খবর, ওই তরুণীকে নেশা করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তাঁর বন্ধু। তাঁর বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যাবে।