টাইমস বাংলা ডেস্ক- সামনেই পুজো তার আগেই মনটা পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে নিশ্চই? তাহলে আর দেরি কেন গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে পড়ুন সিকিমে। এবার হয়তো ভাববেন সিকিমে আবার গ্যাংটক ছাড়া কিবা আছে! তবে না এবার আপনারা যেতে পারেন গ্যাংটক থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিমি দূরে মাঙ্গন। এখানে থাকার জন্য একাধিক হোম স্টে রয়েছে। যেখানে রাস্তার দুপাশে ফুলের গাছ,বাগানের মনোরম সৌন্দর্য পাগল করে দেবে যে কোনো অতিথিকে। শুধু কি তাই মরসুমি ফল আর হাঁস মুরগীর পোলট্রি রয়েছে এখানে। আর সবথেকে সুদৃশ্য জায়গা হল এর বারান্দা সেখান থেকে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।
সন্ধ্যা নামতেই এখানে নিস্তব্ধতায় বেড়াজাল। চারদিক মায়াময়,অন্ধকার আর আলোর খেলা। আর এর সঙ্গে আছে জমজমাট ঠান্ডা। দূরের গ্রামগুলো আলোয় ভর্তি। কোথাও আবার নিকষ কালো অন্ধকারে টিমটিম করে লন্ঠন জ্বলছে দেখতে পারবেন ঝি ঝি পোকা অনবরত ডাক শুনতে পারবেন। আবার খুব ভোরে উঠে ছুটে চলে যেতে পারেন মাঙ্গন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায়। এখানে পরিযায়ী পাখি দেখা মেলে তাদের কোলাহল শুনতে শুনতে বিভোর হয়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে নভেম্বর মাসের দিকে এই পাখিদের দেখা মেলে। তবে একটু উচুতে উঠতে গেলেই বিপদ। রাস্তা খুব সুবিধার নয়। তবে একবার উঠে গেলেই দেবদারু গাছের ছায়ার নিশ্চিন্ত হয়ে বসে পড়ুন। এখান থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন ছোট ভয়ালিতে। এখানকার মোমো আর চা কিন্তু খুব প্রসিদ্ধ।
এরপর ছুঁয়ে দেখতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাহাড়ের মেতে উঠবেন ঝর্নার আওয়াজে।গ্রামটি বেশ ছোটো তাই দোকান বাজার খুব কম। এখান থেকে আবার মাত্র ২ কিমি দূরে আছে সিংহিক ভিউ পয়েন্ট। মাঙ্গণ গ্রামে আছে একটি বুদ্ধ মনেস্ট্রি। এছাড়া নাগা জলপ্রপাত থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা গাড়ি ভাড়া করে পুরো গ্রাম চষে বেড়ানো যায়।গ্যাংটক থেকে মাঙ্গন খরচ ২০০ টাকা তবে খাওয়া দাওয়া আলাদা। আর হোম স্টে থেকে উপভোগ করতে পারেন নৈসর্গিকতা। অক্টোবরে গেলে সবথেকে ভাল তবে পাখির দেখা মেলে নভেম্বরে। অবশ্যই সঙ্গে ক্যাশ টাকা রাখবেন। এছাড়া নিজের আইডি কার্ড এবং অবশ্যই ভ্যাকসিনেশন সংশাপত্রের প্রতিলিপি।